হালাল পশুর খাওয়া নিষেধ যেসব অংশ

হালাল পশুর খাওয়া নিষেধ যেসব অংশ:

কোরবানি হলো আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি ইবাদত। ইসলামে কোরবানির অর্থ হলো আল্লাহ তা’য়ালার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য শরিয়ত নির্দেশিত উপায়ে কোনো প্রিয় বস্তু আল্লাহর দরবারে পেশ করা। কোরবানি মানে শুধু আত্মত্যাগই নয়; বরং আল্লাহর সঙ্গে বান্দার ভালোবাসার অনন্য এক নিদর্শনও।

১০ জিলহাজ পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহ তা’য়ালা মূলত মানুষের তাকওয়া-পরহেজগারি পরীক্ষা করেন। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, (মনে রেখো, কোরবানির পশুর) গোশত অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে কখনোই পৌঁছায় না; বরং তার কাছে কেবলমাত্র তোমাদের পরহেজগারিই পৌঁছায় (সূরা হজ : ৩৭)।

আল্লাহ তায়ালা অন্য আয়াতে বলেন, ‘আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোরবানি নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেওয়া চতুস্পদ জন্তু জবেহ কারার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ তো একমাত্র আল্লাহ সুতরাং তারই আজ্ঞাধীন থাকো এবং বিনয়ীগণকে সুসংবাদ দাও (সূরা হজ : ৩৪)।’

কোরাবানির জন্য নির্ধারিত পশুর মাংস নিদ্বিধায় খাওয়া হালাল হলেও কিছু অংশ খাওয়া হালাল নয়। এর অন্যতম হলো হালাল প্রাণীর রক্ত খাওয়া, যা ইসলামে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এ ছাড়াও রাসুলুল্লাহ (সা.) ৭টি জিনিস খাওয়া অপছন্দ করতেন।

এ প্রসঙ্গে হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এসেছে, বিখ্যাত তাবেয়ি হজরত মুজাহিদ (রহ.) বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ (সা.) বকরির সাত জিনিস খাওয়াকে অপছন্দ করেছেন। তা হলো- ১. প্রবাহিত রক্ত। ২. অণ্ডকোষ। ৩. চামড়া ও গোশতের মাঝে সৃষ্ট জমাট মাংসগ্রন্থি। ৪. মূত্রথলি। ৫. পিত্ত। ৬. নর ও মাদি পশুর গুপ্তাঙ্গ।

হাদিসের অনুসরণে প্রিয় নবী (সা.)-এর অপছন্দনীয় পশুর নির্ধারিত অংশগুলো না খাওয়াই উত্তম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *