হানাফি মাযহাবের ফতোয়ার কিতাব সমূহ সহ প্রায় ৭০টি আরবী উর্দু বাংলা ফতোয়ার কিতাবের তালিকা।
জীবনের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহর হুকুম পালন করা মুমিনের জন্যে আবশ্যক। শুধুমাত্র নামাজ রোজা হজ্জ যাকাত এসব মোটামোটা বিষয়ে ইসলামের অনুসরণ করলেই প্রকৃত মুসলিম হওয়া যাবে না। বিয়ে-শাদী, তালাক-বিচ্ছেদ, লেনদেন-ক্রয়বিক্রয়-ব্যবসাবাণিজ্য, ফারায়েজ, রাজনীতি, জিহাদ-যুদ্ব ইত্যাদি অর্থাৎ ব্যক্তিগত,পারিবারিক, সামাজিক রাজনৈতিক, ও আন্তর্জাতিক জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইসলামের বিধান অনুযায়ী চলতে হবে। আর জীবনের সর্বক্ষেত্রে যথাযথ ও সহজভাবে ইসলাম পালন করতে হলে প্রয়োজন ফতোয়ার। যারা আল্লাহর প্রদত্ত জীবন বিধানকে এড়িয়ে মানব রচিত বিধান থেকে ফয়সালা অনুসন্ধান করে তাদের ঈমান অপূর্ণাঙ্গ। জীবনের জন্যে যেমন অক্সিজেন অপরিহার্য অনুরূপ মুমিনের জন্যে ফতোয়া অপরিহার্য।
সুপ্রিয় পাঠক, ৭০টি ফতোয়ার কিতাবের তালিকা ও সেগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হলো। আর যারা ইফতা বিভাগে পড়াশোনা করেন অথবা যারা মুফতি/ ফতোয়া প্রদান করেন তাদের জন্যে একাধিক ফতোয়ার কিতাবের প্রয়োজন হয় হাওয়ালা বা তথ্যসূত্র দেয়ার জন্যে। যেন প্রদত্ত ফতোয়াটি একাধিক দলীলের মাধ্যমে মজবুত ও গ্রহণযোগ্য হয়।
ফতোয়ার কিতাবসমূহের তালিকা:
(১)তানভীরুল আবসার, تنوير الأبصار
লেখকঃ আল্লামা শামসুদ্দীন তামারতাশী রহ.
(২) আদদুররুল মুখতার, الدر المختار
লেখকঃ আল্লামা আলাউদ্দিন হাসকাফী রহ.
(৩)রদ্দুল মুহতার বা ফতোয়ায়ে শামী
رد المحتار على الدر المختار/ حاشية ابن عابدين
লেখকঃ আল্লামা ইবনু আবিদিন শামী রহঃ।
ইসলামী আইন শাস্ত্র তথা ফিকাহ শাস্ত্রের বিশ্ব বিখ্যাত অদ্বিতীয় একটি গ্রন্থ হল— ‘রাদদুল মুহতার আলা দুররে মুখতার’। রাদ্দুল মুহতারের আরো দুটি নাম রয়েছে ‘ফতোয়ায়ে শামী’ ও হাশিয়া ইবনে আবিদিন। সালতানাতে উসমানিয়া যুগের সিরিয়ার বিখ্যাত মুফতি আল্লামা ইমাম আমীন ইবনে আবেদীন শামী হানাফী (১১৯৮-১২৫২ হিঃ/ ১৭৮৩- ১৮৩৬খৃীঃ) এ গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থসহ পঞ্চাশটির অধিক গ্রন্থ রচনা করেন। ফিকাহে হানাফির এ গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থটি ইংলিশ,উর্দূ তুর্কিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। তবে এখনো ফতোয়ায়ে শামীর বাংলা অনুবাদ হয় নি। লক্ষণীয়, ‘দুররুল মুখতার’ হলো ‘তানভীরুল আবসার’ এর শরাহ বা ব্যখ্যাগ্রন্থ। আর রাদ্দুল মুহতার হল ‘দুররুল মুখতার’ এর ব্যখ্যাগ্রন্থ। বর্তমানে উপরোক্ত তিনটি গ্রন্থ একটি মাত্র কিতাবে পাওয়া যাচ্ছে। মাকতাবায়ে আশরাফিয়া ও জাকারিয়া বুক ডিপু থেকে ফতোয়া শামীর খন্ড সংখ্যা ১২টি।
(৪) ফাতহুল কাদীর
লেখক: আল্লামা কামালুদ্দীন ইবনুল হুমাম রহিমাহুল্লাহ। হানাফি আইনশাস্ত্রের বিখ্যাত গ্রন্থ হেদায়ার সর্বাধিক বিস্তারিত,সমাদৃত ও প্রসিদ্ধ ব্যাখ্যাগ্রন্থ হলো ফাতহুল কাদীর। শাব্দিক ব্যাখ্যা, ব্যাকরণ, পরিভাষা, উসূলে ফিকহ নিয়ে সুন্দরভাবে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ফাতহুল কাদীর সাধারণত ১০ ভলিউমের হয়ে থাকে।
(৫) কিতাবুল আসল
(كتاب الأصل / আল মাবসূত- المبسوط)
লেখকঃ ইমামা মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহ।
হানাফি মাযহাবের পরিচয় লাভের জন্যে ইমাম মুহাম্মদ রহ. রচিত ছয়টি কিতাব রয়েছে যেগুলোকে ‘জাহিরুর রিওয়ায়াহ’ বলা হয়। নিম্নে একাধারে কিতাবসমূহের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ‘জাহিরুর রিওয়ায়াহ’ কিতাব ষষ্ঠের প্রথম রচনা ‘মাবসূত’।তাকে ‘আসল’ ও বলা হয়। এটি হানাফী মাযহাবের অন্যতম একটি গ্রন্থ। ইমাম শাফেয়ী রহ. উক্ত কিতাবটি আত্মস্থ করেছিলেন। কোরআন হাদীসের আলোকে মানব জীবনের সর্বপ্রকার সমস্যার সমাধান বের করার লক্ষ্যে ইমাম আযম আবু হানিফা রহঃ চল্লিশজন বিদগ্ধ গবেষক আলেমের সমন্বয়ে একটি ফিকাহ কমিটি তৈরি করেন। যাঁরা দীর্ঘ বিশবছর কঠোর মেহনত করে দলীল ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর আকারে একটি গ্রন্থ রচনা করেন যার নাম আল মাবসূত বা আল আসল। এই গ্রন্থটি সমাজের সর্বমহলের নিকট সমাদৃত ও গ্রহণীয় হয়ে উঠে। এবং এর উপর ভিত্তি করে মুসলিম উম্মাহর আমল চলতে থাকে। পরবর্তীকালে যা “হানাফী মাযহাব” হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
(৬) জামিউস সগির, الجامع الصغير
(৭)জামিউল কাবির, الجامع الكبير
(৮) যিয়াদত ও যিয়াদাতুয যিয়াদাত, الزيادة وزيادة الزيادات
(৯)সিয়ারুস সগীর السير الصغير
(১০) সিয়ারুল কাবির,السيرالكبير
উক্ত ছয়টি কিতাবেরই লেখক হলেন ইমাম মুহাম্মাদ রহ:
(১১) কাফি الكافي
লেখকঃ ইমাম হাকেম শহিদ রহ.
‘জাহিরুর রিওয়ায়াহ’ তথা ইমাম মুহাম্মদ রহ. রচিত ছয়টি কিতাবের মাসআলা সমূহকে সংক্ষিপ্তাকারে একটি গ্রন্থে সংকলন করেন এবং তার নাম দেন ‘কাফি’।
(১২)ফাতাওয়া কাযীখান فتاوى قاضيخان
লেখকঃ আবুল হাসান ফখরুদ্দীন হাসান ইবনে মানসূর ইবনে আবদুল আযীয আল ফারগানী আল আউয জান্দী (ওফাত: ৫৯২হিজরী)। যাকে ‘ফকীহুন নফস’ ও ‘ফখরুল ইসলাম’ উপাধীতেও ডাকা হয়।
ফতোয়ায়ে কাযীখান হানাফী মাযহাবের একটি সুবিদিত প্রসিদ্ধ ফতোয়া গ্রন্থ। হানাফী উলামায়ে কেরামের নিকট এ গ্রন্থটি অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য। সকল ধরনের প্রয়োজনীয় ফতোয়া এর মধ্যে পাওয়া যায়। ফতোয়ায়ে কাযীখান ফতোয়ায়ে খানিয়্যা নামেও পরিচিত। বর্তমানে ‘ফতোয়ায়ে আলমগীরী’এর সাথে ফতোয়ায়ে কাযীখান মুদ্রিত অবস্থায় পাওয়া যায়।
(১৩) ফতোয়ায়ে আলমগীরী বা ফাতাওয়া হিন্দিয়্যাহ الفتاوى العالمكيري/ الفتاوى الهندية (১-৬ খন্ড)।
মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব আলমগীরের নির্দেশে এই মূল্যবান গ্রন্থটি প্রণীত হয়। সম্রাট আওরঙ্গজেব আলমগীর সিংহাসনে আরোহনের চার বৎসর পর ফাতাওয়ার একটি প্রামাণ্য পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ প্রণয়নের শাহী ফরমান জারী করেছিলেন। আল্লামা নিজাম উদ্দিন বুরহান উদ্দীনের সভাপতিত্বে ফিকাহ শাস্ত্রে অভিজ্ঞ ও বিচক্ষণ প্রায় পাঁচশত মুফতীদের সুদীর্ঘ আট বছরের নিরলস প্রচেষ্টায় সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরী হয়েছিল হানাফি মাযহাবের উপর লিখিত বিখ্যাত ফাতোয়া গ্রন্থ ‘ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী।উপমহাদেশে মুসলিম আইনের সর্বশ্রেষ্ঠ আইনগ্রন্থ হিসাবে ঘোষণা করা হয়। ফতোয়ায়ে আলমগীরী রচিত হওয়ার পর তা হানাফি মাযহাবের রেফারেন্সগ্রন্থ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সম্রাট আলমগীরের নামানুসারে ইহার নাম ফতোয়ায়ে আলমগীরী রাখা হয় । এই কিতাবে ফতোয়ায়ে কাযীখানও সংযোজন করা হয়েছে হয়েছে। ফাতাওয়া আলমগীরী প্রায় ছয় খন্ড।
(১৪) নিযামুল ফাতাওয়া نظام الفتاوى
লেখকঃ মুফতি নিযামুদ্দীন আযমী রহ:
(১৫) আপকে মাসায়িল আওর উনকা হল (آپکے مسائل اور انکا حل ১-১০খন্ড)
লেখকঃ মাওলানা ইউসুফ লাখনৌভী রহ:
(১৬) ফাতাওয়া আস সিরাজিয়্যাহ,الفتاوى السراجية (১-৩ খণ্ড), লেখকঃ সিরাজ উদ্দিন আবী মুহাম্মাদ আলী বিন মুহাম্মাদ তাইমি রহঃ
(১৭) ফাতাওয়া তাতারখানিয়া, الفتاوى التاتارخانية
লেখকঃ আলম বিন আলা আল আনসারী হিন্দি ইন্দ্রাপতি রহঃ।
এটি ফিকহে হানাফীর একটি গ্র্যান্ড কালেকশন। ফাতওয়া তাতারখানিয়া হ’ল দিল্লী সুলতানিতে ভারতে রেখে যাওয়া সর্বশ্রেষ্ঠ ইসলামী ঐতিহ্য এবং একাডেমিক মাস্টারপিস। ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ত্রিশ খণ্ডে সংকলিত হয়েছিল যা ইসলামী আইনশাস্ত্র ও ফতোয়া সাহিত্যের বিশ্বকোষ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলকের রাজত্বকালে (১৩৮১) শায়খ ‘আলিম বিন’ আলা ইন্দ্রাপতি দ্বারা এটি সংকলন করেছিলেন।কিতাবটিতে কুরআন ও হাদীসের দশহাজারের বেশি রেফারেন্স রয়েছে।
(১৮) মাজমাউল ফাতাওয়া, مجمع الفتواي
(ভলিউম ১-৩৭) লেখকঃ শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়া রহ.
(১৯) খুলাসাতুল ফাতাওয়া, خلاصة الفتاوى
লেখকঃ তাহির বিন আহমদ বিন আব্দুর রশীদ বুখারী (৫৪২হিঃ)।
(২০)ফাতাওয়া বাযযাযিয়্যাহ الفتاوى البزازية أو الجامع الوجيز আল জামিউল ওয়াজিয নামেও পরিচিত।
লেখকঃ মুহাম্মাদ ইবনে শিহাব আল কুরদী রহ.
(২১) যখীরাতুল ফাতাওয়া, الذخير البرهانية
ফিকহে হানাফীর গুরুত্বপূর্ণ একটি কিতাব (১-১৫খন্ড)। লেখক’ আবুল মা’আলী বুরহানুদ্দীন মাহমুদ ইবনে আহমদ ইবনে মাযা।
(২২) কানযুদ দাকায়িক, كنز الدقاءق
লেখকঃ আল্লামা নাসাফী রহ.।
(২৩)আল-বাহরুর রায়িক البحر الراءق (শরহে কানযুদ দাকায়িক)
লেখকঃ আল্লামা যাইনুদ্দীন ইবনু নুজাইম মিশরি রহ.।
(২৪)তাবয়ীনুল হাকায়েক تبيين الحقاءق(শরহে কানিযুদ দাকায়িক)
লেখকঃ ফখরুদ্দিন উসমান রহ.
(২৫)আন নাহরুল ফায়িক البحر الفاءق. (শরহে কানযুদ দাকায়িক)
লেখকঃআল্লামা সিরাজুদ্দীন উমর ইবনু নুজাইম রহ.
(২৬)মাজহারুল হাকায়িক, مظهر الحقاءق(শরহে বাহরুর রায়িক)
লেখকঃ খাইরুদ্দীন রমালী।
(২৭) কিতাবুন নাওয়াযেল, كتاب النوازل
লেখকঃ মুফতি সায়্যিদ মুহাম্মাদ সালমান সাহেবه রসূলপুরী।
(২৮) গুরারুল আহ্কাম’ غرر الأحكام
মুহাম্মদ বিন ফারামজ আল শাহির আল হানাফী র.
(২৯) ‘দুরারুল হুক্কাম’ درر حكامح(গুরারুল আহকাম এর ব্যখ্যাগ্রন্হ।
(৩০) তুহফাতুল ফুকাহা, تحفة الفقهاء
লেখকঃআলাউদ্দিন মুহাম্মদ বিন আবি আহমদ আল-সমরকান্দি (539 হিজরি)।
(৩১) দুরারুল বিহার, درر البحار
লেখকঃ মুহাম্মাদ বিন ইউসুফ বিন ইলয়াস আলকূনায়ী রহ.
(৩২) ফাতাওয়া খায়রিয়্যাহ, فتاوي خيرية
লেখকঃ হযরত আব্দুল্লাহ মুহিউদ্দীন ফারূকী মুজাদ্দেদী রহ.
(৩৩) বাওয়াদির ও নাওয়াদির, البوادر والنوادر
লেখকঃ আল্লামা আশরাফ আলী থানভী রহ.
(৩৪) খাইরুল ফাতাওয়া, خبر الفتاوي
(উর্দু, ৬ ভলিউম, মাদ্রাসা খাইরুল মাদারিস মুলতান)।
(৩৫) আস সিরাজুল ওয়াহহাজ, السراج الوهاج
লেখকঃ মুহাম্মাদ আয যুহরী গুমারারি রহ.।
(৩৬) আল-বাদায়িউস সানায়ি, بدائع الصنائع
লেখকঃ ইমাম আলাউদ্দিন আবী বকর ইবনে মাসউসদ আল কাসানী আল হানাফি রহ.।
এই গ্রন্থটি শায়খ আল-কাসানীর অন্যতম বিশিষ্ট রচনা যা সহজ আরবি ভাষা এবং ফিকহের প্রতিটি বিষয়ে রেফারেন্স হিসাবে হাদীস উপস্থাপন করার কারণে কিতাবটি বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে । এটি মূলত ফিকহে হানাফীর উপর তাঁর শিক্ষক আলাউদ্দিন মুহাম্মদ বিন আবি আহমদ আল-সমরকান্দি (539 হিজরি) রচিত “তুহফাতুল ফুকাহা” গ্রন্থের একটি শরাহ।তোহফাতুল ফুকাহা বর্তমানে “বাদায়িয়ুস সানা’ই নামে পরিচিত।
(৩৭) ইমদাদুল ফাতাওয়া,
লেখক,আশ্রাফ আলী থানবী রহ.
(৩৮) ইমদাদুল আহকাম,(ভলিউম-৩)
লেখকঃ জাফর আহমদ উসমানী
(৩৯) ফাতাওয়া দারুল উলুম (দেওবন্দ),
(১-১৮ খন্ড)
(৪০) ফাতাওয়া মাহমুদিয়্যাহ (২৫খন্ড)
লেখক,মুফতি মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহী রহ.।
(৪১) আহসানুল ফাতাওয়া, (উর্দু-খন্ড১-১০)
লেখকঃ – মুফতী রশীদ আহমদ লুধিয়ানুভী (রহ.)।
(৪২) জাওয়াহিরুল ফিকাহ (৬ ভলিউম),
লেখকঃ মুফতি মুহাম্মদ শফী রহ.।
(৪৩)মাবসূতে সারাখসী المبسوط السرخسي
লেখকঃ শামসুল আয়িম্মা আবি বাকার মুহাম্মদ ইবনে আহমদ আস সারাখসী রহ:
খন্ড(১-৩০)ফিকহে হানাফীর উল্লেখযোগ্য একটি কিতাব হিসেবে বিবেচিত হয়। লেখক হানাফী মাযহাব এবং অন্যান্য মাযহাব বিশেষত শাফিয়ী মাজহাব ও মালেকির মধ্যে একটি তুলনা স্থাপন করেছেন। মাবসুতে সারাখসসী কিতাবটি জেলখানা থেকে রচিত করে এর লেখক শামসুল আয়িম্মা আবি বাকার মুহাম্মদ ইবনে আহমদ আস সারাখসী রহ:। তিনি একটা কূপের মধ্যে বন্দী ছিলেন। ছাত্ররা আসতো আর তিনি কূপ থেকে দরস দিতেন।একপর্যায়ে একটা দীর্ঘ কিতাব রচিত হয়।
(৪৪) ফাতাওয়ায়ে রাহিমিয়্যাহ (উর্দু,ভলিউম ১-১০)
লেখকঃ সায়্যিদ আব্দুর রহিম লাজপুরী রহ.।
(৪৫)ফাতাওয়ায়ে উসমানিয়্যাহ(উর্দু-বাংলা)
লেখকঃ মুফতি ত্বকী উসমানী রহ.।
(৪৬)ফাতাওয়ায়ে রাহমানিয়া(বাংলা)
লেখকঃ মুফতি মনসুরুল হক হাফি.
(৪৭)ফাতাওয়ায়ে জামেয়া (বাংলা)
লেখকঃ মুফতি ফজলুল হক আমিনী রহ.
(৪৮)ফাতাওয়ে রশিদিয়্যাহ
লেখকঃ শায়েখ রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী রহ.
(৪৯) আশরাফুল হিদায়া (আরবী-বাংলা)
লেখকঃ আবুল হাসান বুরহানুদ্দীন আল মুরগিনানী রহ.। হেদায়া কিতাবটি হানাফি মাযহাবের এক অমর গ্রন্থ। ফিকহে হানাফীর প্রসিদ্ধ ও বহুল প্রচলিত গ্রহণযোগ্য কিতাব।
(৫০)ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত (বাংলা)
লেখকঃ ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আব্দুর রহমান রহ.।
(৫১)আল মুহিতুল বুরহানী
লেখকঃ শায়েখ মুহাম্মাদ ইবনে মাযাহ আল বুখারী রহ.।
(৫২)বাহরুল উলুম (৬খন্ড)
লেখকঃ মুফতী মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান আযমী রহ.।
(৫৩)ফাতাওয়া ইসলামিয়া,
লেখকঃ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল আযীয রহ.।
(৫৪) ফতোয়ায়ে আযিযীয়্যাহ
লেখকঃ শাহ আব্দুল আযীয দেহলভী রহ.।
(৫৫) ফতোয়া আন নাসাফিয়্যাহ
লেখকঃ আল্লামা নাসাফী রহ.।
(৫৬) ফাতাওয়া আন নাওয়াযিল
লেখকঃ আল্লামা আবুল লাইস আস সামারকান্দী রহ.।
(৫৭) ফাতাওয়ায়ে খলিলীয়্যাহ
লেখকঃ আল্লামা খলিল আহমদ সাহারানপুরী রহ.।
(৫৮) জাদীদ ফিকহী মাসায়িল
লেখকঃ খালিদ সাইফুল্লাহ রহমানী।
০৫ খন্ড।
(৫৯) ফাতাওয়া মাজাহিরুল উলুম
লেখকঃ খলিল আহমদ সাহারানপুরী রহ.।
(৬০)ফাতাওয়া কাযী,
লেখকঃ ফকীহুল আসর কাযী মুজাহিদুল ইসলাম কাসেমী রহ.।
(৬১) ফাতাওয়ায়ে হক্বানীয়্যাহ,
লেখকঃ মাওলানা আব্দুল হক হক্কানী রহ.।
(৬২)ফাতাওয়া দারুল উলুম যাকারিয়্যা।
(৬৩) নাওয়াদিরুল ফিকহ,
লেখকঃ আল্লামা রাফি উসমানী।
(৬৪)আল মুখতার লিল ফাতাওয়া,
(৬৫)ফাতাওয়া ওয়াল ওয়ালিজিয়্যাহ,
লেখকঃ জহিরুদ্দীন আব্দুর রশীদ আবু হানীফা ওয়ালিজিয়্যাহ।
(৬৬)মুলতাকাল আবহুর, (ملتقى الأبحر)
লেখকঃ ইব্রাহিম ইবনে মুহাম্মাদ হাবলী রহঃ।
মাজমাউল আনহার, مجمع الأنهار
‘মুলতাকাল আবহুর’ এর ব্যাখ্যাগ্রন্থ।
(৬৭) কিফায়াতুল মুফতী, كافية المتي
লেখকঃ ইবনু আকীল আবু ওয়াফা রহ.।
(৬৮)হালবী কাবীর,
লেখকঃ ইব্রাহীব আল হালবী রহ.।
(৬৯)মারাকিউল ফালাহ(শরহে নুরল ইজাহ ও নাজাতুল আরওয়াহ) লেখকঃ হাসান বিন আম্মার বিন আলী শুরুনবুলালী রহ.।
(৭০) ফাতাওয়া আল কুবরা (ভলিউম ১-৬)
লেখকঃ শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়া রহ.।
৭১। ফাতোয়ায়ে হানাফিয়া
লেখক: শায়েখ এমামুদ্দীন মুহাম্মদ ত্বহা
কিতাবটিতে রেফারেন্সসহ প্রায় তিন হাজার পাঁচশত আধুনিক ও যুগোপযোগী মাসায়েলের সংকলন করা হয়েছে। বাংলা ভাষায় রচিত ফতোয়াত অসাধারণ একটি গ্রন্থ “ফতোয়ায়ে হানাফিয়া”।
প্রিয় পাঠক, আশা করি আমার ইশতিহার এর রচিত প্রবন্ধ থেকে ফতোয়ার কিতাব বাংলা, ফতোয়ার কিতাব আরবি, ফতোয়ার কিতাব উর্দু, বাংলা ফতোয়ার কিতাব সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন। আমাদের এই তালিকায় যদি কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হয় দয়া করে কমেন্ট বক্সে অথবা আমাদের ফেসবুক পেইজের ইনবক্সে জানিয়ে দিবেন।