শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে। আর ২০২৬ সালে নতুন শিক্ষাক্রমের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথম এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেবে।
সোমবার (২৯ মে) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ পরিকল্পনার কথা জানান।
নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন এ বছর থেকে শুরু হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ শিক্ষাক্রমের নানান দিক বুঝে উঠতে আমাদের সময় লাগবে। শিক্ষকদেরও অভ্যস্ত হয়ে ওঠার জন্য কিছুটা সময় লাগবে। অভিভাবকদেরও সময় লাগবে। তবে সৌভাগ্যবান আমরা, শিক্ষার্থীরা বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে গ্রহণ করেছে। তাই সময় লাগছে সবচেয়ে কম। শিক্ষার্থীরা দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে।
২০২৩ সালে মাধ্যমিকের ষষ্ট ও সপ্তম এবং প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। আর ২০২৪ সালে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হবে। এই ধারাবাহিকতায় ২০২৬ সালের প্রথম এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে স্মার্ট শিক্ষার কৌশল নির্ধারণের সূচনা উপলক্ষে ‘স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল’ আয়োজন করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। এতে ২০টি স্মার্ট শিক্ষা কার্যক্রম প্রদর্শন ও ১০টি সেমিনারে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ করতে পারবে। একটি কেন্দ্রীয় ‘স্মার্ট শিক্ষা’ ফ্রেমওয়ার্ক রচনার লক্ষ্যে কিছু মতামত নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে উপস্থাপন করার জন্য এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়।
এনিয়ে অনেকগুলো সেমিনার করা হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসব সেমিনার থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে অনেক উপায় বের হয়ে আসবে। এই ফেস্টিভ্যালের মাধ্যমে স্মার্ট শিক্ষার কৌশল নির্ধারণের শুরু হলো বলে মনে করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও কলেজ) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরীসহ অনেকে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ও অন্যান্য অতিথিরা অংশ নেওয়া স্টলগুলো পরিদর্শন করেন।