في مسجدنا خطبة الجمعة اليوم (خطبة الجمعة مكتوبة قصيرة)

في مسجدنا خطبة الجمعة اليوم (خطبة الجمعة مكتوبة قصيرة)

 

(পবিত্র কুরআন ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ’র গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে জুমার প্রথম খুতবা।)

 

خطبة الجمعة اليوم
الْخُطْبَةُ الأولى لِلْجُمُعَةِ فِي فَضِيْلَةِ الْقُرْأنِ وَالسُنَّةِ وَأهَمِّيَتُهُمَا
مكان: بيت السلام، داكا بنغلادش،
التاريخ: ١٧/٤/٢٣ ع
خطيب: مفتي تاج الإسلام المصباح

জুমার খুতবা আরবী خطبة الجمعة اليوم

الْحَمْدُ لله الَّذِي امْتَنَّ عَلَى عِبَادِهِ بِنَبِيِّهِ الْمُرْسَلِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكِتَابِهِ الْمُنَزَّلِ، حَتَّى اتَّسَعَ عَلَى أَهْلِ الأفكار طَرِيقُ الْاِعْتِبَارِ
بِمَا فِيهِ مِنَ الْقَصص وَالإخْتِبَار، وَاتَّضَحَ بِه سُلُوكُ الْمَنْهَجِ القَوِيْمِ وَالصّرَاطِ الْمُسْتَقِيمِ،
بِمَا فَصَّلَ فِيْهِ مِنَ الْأَحْكَامِ، وَفَرَّقَ بَيْنَ الْحَلَالِ وَالْحَرَامِ.

(সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রেরণ করিয়া এবং স্বীয় কিতাব নাযিল করিয়া আপন বান্দাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। ফলে চিন্তাশীল ব্যক্তিদের জন্য উপদেশ গ্রহণের পথ প্রসারিত হয়েছে। কারণ উক্ত কিতাবে বিভিন্ন ঘটনাবলী ও সংবাদ রয়েছে। উহা দ্বারা সুদৃঢ় ও সরল পথ প্রকাশিত হয়েছে। যার দ্বারা হুকুম আহকামের বিস্তারিত বিবরণ ও হালাল হারামের পার্থক্য বর্ণনা করিয়াছেন।)

ونشْهَدُ اَنْ لا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ، وَنَشْهَدُ اَنَّ سَيِّدَنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، الَّذِى نَزَّلَ الْفُرْقَانَ عَلَيْهِ لِيَكُونَ لِلْعَلَمِيْنَ نَذِيرًا، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى ألِهِ وَاَصْحَابِهِ الَّذِيْنَ تَذَكَّرُوا بِالْقُرْآنِ وَذَكَّرُوا بِهِ النَّاسَ تَذْكِيْرًا،
(আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত আর কোনো মাবুদ নাই, তিনি একক তাঁর কোনো শরীক নাই, আমরা আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সর্দার ও নেতা আল্লাহর বান্দা ও রাসূল, যাহার প্রতি তিনি কুরআন নাযিল করেছেন যেন তিনি বিশ্ববাসীর জন্য সতর্ককারী হতে পারেন। আল্লাহ তায়াল তাঁর উপর ও সাহাবীগণের উপর রহমত বর্ষণ করুন যারা কুরআন থেকে নসীহত গ্রহণ করেছেন এবং অন্যদেরও নসিহত করেছেন।)

اَمَّا بَعْدُ فَيَا أيها المصلون الكرام، إعلموا أنَّ القرأنَ هُوَ كِتابُ الله، الَّذي نزَل به جِبْرِيْلُ عليه السلام بإذن الله من اللوحِ المحفوظِ الى خاتمِ الأنبياءِ نبينًا محمدٍ صلى الله عليه وسلم،

(সম্মানিত মুসল্লীবৃন্দ, জেনে রাখুন, কুরআন আল্লাহর সেই কিতাব যা নিয়ে হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম আল্লাহর অনুমতিক্রমে লাওহে মাহফুজ থেকে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট অবতরণ করেছেন।)

هو كلام الله فشأنه كشأن الله عز وجل، قال الله سبحانه وتعالى في شانه: لو أنزلنا هذا القران على جبل لرأيته خاشعا متصدعا من خشية الله،
(কুরআন মহান আল্লাহর কালাম সুতরাং আল্লাহর যে শান কুরআন কারীমেরও সে শান, পবিত্র কুরআনের শান সম্পর্কে মহান আল্লাহ এরশাদ করেন “যদি আমি এ কুরআন পর্বতের উপর নাজিল করতাম তবে তুমি তাকে বিনীত ও বিদীর্ণ দেখতে পারতে” সূরা হাশর আয়াত ২১)।


‏وقال الله سبحانه وتعالى ايضا في اظهار عظمته وإعجازه: قل لئن اجتمعت الانس والجن على ان يأتوا بمثل هذا القران لا يأتون بمثله ولو كان بعضهم لبعض ظهيرا،
(মহান আল্লাহ কুরআনের মর্যাদা এবং তার অলৌকিকত্ব সম্পর্কে এরশাদ করেন, “বলুনঃ যদি কুরআনের অনুরূপ কুরআন আনার জন্য মানুষ ও জিন সম্প্রদায় সমবেত হয় এবং যদিও তারা পরস্পরকে সাহায্য করে তবুও তারা আনতে পারবেনা” বনি ইসরাইল আয়াত ৮৮)।


والقران ليس فيه ريب ولا شك فيه ولا يأتيه الباطل من اي جهة كان كما قال الله سبحانه وتعالى: ذلك الكتاب لا ريب فيه، وايضا قال الله تعالى: وأنه لكتاب عزيز، لا ياتيه الباطل من بين يديه ولا من خلفه، تنزيل من حكيم حميد،
(আল কোরআন কারীমের মধ্যে বিন্দুমাত্র সংশয় সন্দেহ নেই আর কোন দিক থেকেই মিথ্যা তাকে স্পর্শ করতে পারে না। যেমন আল্লাহর বাণী “উহা এমন এক কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নেই” সূরা বাকারা, আয়াত ০২। আল্লাহ তায়ালা আরো এরশাদ করেন, ” এটা অবশ্যই এক মহিমময় গ্রন্থ, কোন মিথ্যা এতে অনুপ্রবেশ করতে পারেনা, সামনে থেকেও নয় পিছন থেকেও নয়, এটা প্রজ্ঞাময় প্রশংসাহ্ আল্লাহর নিকট থেকে অবতীর্ণ” সূরা হামিম, আয়াত ৪১-৪২)।

‏ ‏والله سبحانه وتعالى انزله في شهر رمضان وجعله هداية للناس والفارق بين الحق والباطل كما قال الله تعالى: شهر رمضان الذي اُنزل فيه القرأن هدى للناس وبينات من الهدى والفرقان،

(মহান আল্লাহ এই কুরআন রমজান মাসে অবতীর্ণ করেছেন এবং একে সব মানুষের পথ নির্দেশ করেছেন, এতে মানুষের হেদায়েত এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী রূপে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে” বাকারা ১৮৫)।

أيها الإخوة الكرام، إعلموا ان السنة ايضا علم الوحي ولكن ألفاظَه ولسانَه من محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم، ومضمونَه من الله تعالى، كما قال الله تعالى: وما ينطق عن الهوى، إن هو الا وحي يوحى،

(জেনে রাখুন, সুন্নাহ তথা হাদিস ওহিলব্ধ জ্ঞান তবে তার শব্দ ও ভাষা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর পক্ষ থেকে এবং মর্ম আল্লাহর পক্ষ থেকে। যেমন এরশাদ হয়েছে “এবং এবং তিনি মনগড়া কথা বলেন না এটা তো ওহী যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়” সূরা আন নাজম ৩-৪)।

فعلينا ان نتمسك السنة ايضا ونجعله هداية كما أمرنا الله سبحانه وتعالى: وما آتاكم الرسول فخذوه وما نهاكم عنه فانتهوا،

(সুতরাং আমাদের উচিত সুন্নাহকেও মজবুতভাবে ধারণ করা এবং তাকে পথ নির্দেশরুপে গ্রহণ করা। যেমনটি আল্লাহ আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে “রাসূল তোমাদেরকে যা দেন তা গ্রহণ করো এবং যা থেকে তোমাদের নিষেধ করেন তা হতে বিরত থাকো”।)

وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: تركت فيكم أمرين لن تضلوا ما تمسكتم بهما كتاب الله وسنة نبيه.
(রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেন আমি তোমাদের মাঝে দুটি বিষয় রেখে যাচ্ছি যতদিন তোমরা তা আঁকড়ে থাকবে গোমরা হবে না তাহলো আল্লাহর কিতাব এবং তার নবীর সুন্নত)।

ولما يظهر الاختلاف بعد النبي صلى الله عليه وسلم فإذن يكون سُنّة لنا هداية كما قال النبي صلى الله عليه وسلم: سترون من بعدي اختلافا شديدا فعليكم بسنتي وسنة الخلفاء الراشدين المهديين عضوا عليها بالنواجذ،

(নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরবর্তীকালে যখন মতভেদ দেখা দিবে তখন তার সুন্নতই হবে আমাদের জন্য হেদায়েত। যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আমার পর তোমরা প্রচন্ড মতভেদ দেখতে পাবে তখন তোমরা আমার সুন্নত এবং আমার ন্যায়পরায়ণ হেদায়েত প্রাপ্ত খলিফাদের সুন্নত গ্রহণ করবে এবং এটা মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরবে।)

قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَمَهُ، وَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلوة وَالسَّلَامُ: يُقَالُ لِصَاحِبِ الْقُرْآنِ اِقْرَاْ وَارْتَقِ وَرَتِّلُ كَمَا كُنتَ تُرَتِّلُ فِي الدُّنْيَا فَإِنَّ مَنْزِلَتَكَ عِنْدَ أخِرِ َأيَةٍ تَقْرَأَهَا،

(রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি বলেছেন, ক্বিয়ামাতের দিন কুরআন ওয়ালাকে বলা হবে, পড়তে থাকো ও উপরে আরোহণ করতে থাক…যে আয়াতে তোমার পাঠ সমাপ্ত হবে সেখানেই তোমার বাসস্থান’ (তিরমিজি ২৯১৪, আবুদাউদ ১৪৬৪)।

وَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلوةُ وَالسَّلَامُ : اِنَّ الَّذِى لَيْسَ فِي جَوْفِهِ حَيْن مِنَ الْقُرْآنِ كَالْبَيْتِ الْخَرِبِ، وَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلوة والسلام مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِّنْ كِتَابِ اللهِ تَعَالى فَلَهُ حَسَنَةُ وَالْحَسَنَةُ بِعشر
اَمْثَالِهَا،
(রাসূল সাঃ বলেন ‘যার হৃদয়ে কুরআনের কিছুই রক্ষিত নেই সে পরিত্যক্ত ঘরের মতো’ (তিরমিজি ২৯১৩, মিশকাত ২১৩৫)। যে ব্যক্তি কোরআন মাজীদের একটি হরফ পাঠ করে সে ১০টি নেকী লাভ করে (তিরমিজি ২৯১০)।

وَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلوةُ وَالسَّلَامُ: مَنْ قَرَأَ القرأن
فَاسْتَظْهَرَهُ فَاَحَلَّ حَلَالَهُ وَحَرَّمَ حَرَامَهُ اَدْخَلَهُ اللهُ الْجَنَّةَ وَشَفَّعَهُ فِي عَشْرَةٍ مِنْ اَهْلِ بَيْتِهِ كُلُّهُمْ قَدْ وَجَبَتْ لَهُ النار،
(যে ব্যক্তি কোরআন পাঠ করল তার হালালকে হালাল বলে মান্য করল এবং হারামকে হারাম বলে মান্য করল আল্লাহ তাকে এর বিনিময়ে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার আপনজনদের মধ্যে থেকে এমন দশজনের ব্যাপারে তার সুপারিশ গ্রহণ করবেন যাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত হয়ে গিয়েছিল, তিরমিজি ২৯০৫, মিশকাত ২১৪১)।

فعلينا أن نتمسك بكتاب الله وسنة نبيه صلى الله عليه وسلم ونعظمهما لكي نحصل سعادة الدارين وكذلك نترك الامور التي خالفت الكتاب والسنة لكي نحفظ عن الضلالة، والله يحفظنا ويرعانا
(হে মুমিন ভাইয়েরা আমার! এখন আমাদের উচিত আল্লাহর কিতাব কোরআন কারীম ও রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত আঁকড়ে ধরা এবং তার যথাযথ মর্যাদা প্রদান করা যাতে আমরা উভয় জগতের কল্যাণ ও সফলতা লাভ করতে পারি আর তেমনি ভাবে আমাদের সেসব কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত যা কোরআন হাদিসের বিরোধী যাতে আমরা সব ধরনের গোমরাহী থেকে হেফাজতে থাকতে পারি। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন এবং তিনি আমাদের রক্ষা করুন।)


‏اَعُوْذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّحِيمِ –
فَلَا أُقْسِمُ بِمَوَاقِعِ السُّجُومِ – وَإِنَّهُ لَقَسَمٌ لَّوْ تَعْلَمُونَ عَظِيمٌ – إِنَّهُ لَقُرْان كَرِيم – فِي كِتَابِ مَكْنُونَ – لَا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ –
আমি বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই। অতঃপর আমি শপথ করছি তারকারাজির অস্তাচলের। এটা এক মহান শপথ যদি তোমরা বুঝতে পার। এতো মহাসম্মানীত কুরআন। একখানা সুরক্ষিত গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে। পবিত্র সত্তাগণ ছাড়া কেউ আর তা স্পর্শ করতে পারে না। সূরা ওয়াকিয়া ৭৫-৭৯)


‏ اقول قولي هذا واستغفر الله لي ولكم وللجميع المؤمنين والمؤمنات والمسلمين والمسلمات الأحياء منهم والأموات فاستغفروه انه هو الغفور الرحيم والله يعلم ما تصنعون
(এই হলো আমার বক্তব্য, আল্লাহর নিকট পানাহ চাই আমার জন্য ও তোমাদের সহ সকল জীবিত-মৃত মুমিন-মুমিনাতের জন্য সুতরাং তোমরা তাঁর কাছে ক্ষমা চাও; নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাকারী, আর আল্লাহ জানেন তোমরা যা করে থাকো।)

أتمنى أن تفهم خطبة الجمعة اليوم

هدية في هذه المقالة خطبة الجمعة اليوم (خطبة الجمعة مكتوبة قصيرة)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *